তেলাপোকার "দুধ" হবে ভবিষ্যৎ প্রোটিনের উৎস

 প্রায় ১৫ বছর আগে একটি অদ্ভুত আবিষ্কার হয়। ঐ গবেষণায় দেখা যায় এক ধরনের তেলাপোকা তার পাকস্থলীতে প্রোটিনের ক্রিস্টাল ধারণ করে। এই তেলাপোকার প্রজাতি একটু অদ্ভুত। অন্যান্য প্রজাতির তেলাপোকা ডিমের মাধ্যমে সন্তান জন্মদান করে কিন্তু এই প্রজাতির তেলাপোকা সরাসরি সন্তান জন্ম দেয় এবং স্তন্যপায়ীদের মতো এরা সন্তানদের কে দুধের প্রোটিন খাইয়ে বড় করে। এই প্রজাতির তেলাপোকার বৈজ্ঞানিক নাম Diploplera punctate. তেলাপোকার এই ধরনের ক্রিস্টালে তুলনামূলক বেশি প্রোটিন থাকে ।তেলাপোকার একটি একক ক্রিস্টালে যে পরিমাণ প্রোটিন থাকে তা গরুর দুধের প্রোটিনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। প্রোটিন তৈরির এই ব্যবস্হাকে মানুষের জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল এখন স্বল্প ব্যয়ে তেলাপোকাজাত প্রোটিন আহরণ পদ্ধতি প্রদান করেছে।International Union Of Crystallography -তে তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার একজন গবেষক সঞ্জয় ব্যানার্জি টাইমস অব ইন্ডিয়া কে বলেছে ," তেলাপোকার এই ক্রিস্টাল গুলো একদম সাধারণ খাবারের মতো , এতে প্রোটিন আছে , ফ্যাট আছে, চিনি আছে।" এ ধরনের খাবার   বাজারজাত করা শুরু হয়েছে এবং বর্তমান বৈশ্বিক বিপর্যয়ে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা এ ধরনের খাবারের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে ।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

উট একটি বিস্ময়কর প্রাণী। এর নিজস্ব কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। *উট ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। *উট একসাথে ১৩০ লিটার পানি পান করতে পারে। * উটের শারিরীক গঠন এমন যে সে প্রচুরপরিমানে পানি তার শরীরের মধ্যে রিজার্ভ রাখতে পারে।তাই উট একবার পানি খেয়ে অনেকদিন পানি পান না করলেও চলে।*উট ১৫০-২০০ কেজি ভার বহন করে অনায়াসে। উট অনেকে শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও মানুষের অনুগত। উট যদি হিংস্র হত তবে মরুভূমিতে মানব বসতি স্থাপন অত্যন্ত কষ্টকর হতো।