গ্লিসারিন
গ্লিসারল হচ্ছে সাদা,সচ্ছ,আঠালো ও মিষ্টি স্বাদ যুক্ত জৈব রসায়নের অ্যালকোহল পরিবারের একটি যৌগিক পদার্থ । শীলে ১৭৭৯ সালে চর্বি থেকে গ্লিসারল পৃথক করে। ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রাণী ও উদ্ভিদের চর্বি এবং তেল থেকে সাবান তৈরির সময় উপজাত হিসেবে গ্লিসারল পাওয়া যেত। ১৯৪৯ সাল হতে আমেরিকায় প্রথম প্রোপিলিন ও চিনি হতে বাণিজ্যিকভাবে গ্লিসারল উৎপাদন শুরু হয়। গ্লিসারল এর বাণিজ্যিক নাম গ্লিসারিন। গ্লিসারিনে ৫% পানি ও ৯৫% গ্লিসারল থাকে। রসায়ন বিজ্ঞানে গ্লিসারিন কে ট্রাই-হাইড্রিক অ্যালকোহল ও IUPAC পদ্ধতিতে ১,২,৩-প্রোপেন ট্রাইঅল বলা হয়। গ্লিসারলের আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.২৬৫। গ্লিসারল পানি ও অ্যালকোহলে দ্রবনীয় এবং ইথার ও ক্লোরোফর্মে অদ্রবনীয়। বিশেষত ডিনামাইট ও নাইট্রো গ্লিসারিন তৈরিতে গ্লিসারল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও প্রসাধনী তস্তু,সাবান,ওষধ তৈরিতে এবং মোটরযানে হিমরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।বর্তমানে ত্বকের পরিচর্যায় গ্লিসারিন খুবই জনপ্রিয় । সমপরিমান চিনি ও গ্লিসারিন এবং অল্প কিছু অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে গায়ে ম্যাসেজ করলে মরা চামড়া দূর হয়। প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ পানি ও গ্লিসারিন মিশিয়ে গায়ে মাখলে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়।
মন্তব্যসমূহ